
- July 14, 2025
- dsource
- 0
রেসিডেন্স ইন্টেরিয়র করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে একটি বাড়ি শুধু সুন্দরই না, বরং ব্যবহারিক, আরামদায়ক ও সময়োপযোগী হয়। নিচে বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলো:
১. বাড়ির ব্যবহারকারীদের চাহিদা ও জীবনধারা
পরিবারের সদস্য সংখ্যা, বয়স, লাইফস্টাইল অনুযায়ী স্পেস প্ল্যানিং।
কোন রুম কিভাবে ব্যবহার হবে—Living, Dining, Bedroom, Study ইত্যাদি অনুযায়ী ডিজাইন।
২. কালার থিম ও মুড
· হালকা রঙ ঘরকে বড় ও খোলা মনে করায়।
· ডার্ক কালার ছোট ঘরে ভারি অনুভব দিতে পারে।
· প্রত্যেক রুমের ফাংশন অনুযায়ী কালার টোন নির্বাচন করা উচিত (যেমন বেডরুমে শান্ত রং, লিভিং রুমে উজ্জ্বলতা)।
৩. ফার্নিচার লেআউট ও সাইজ
· জায়গা অনুযায়ী স্কেলিং—ছোট ঘরে হেভি ফার্নিচার যেন না হয়।
· মডুলার ফার্নিচার ব্যবহার করলে জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব।
· চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস রাখা।
৪. লাইটিং ডিজাইন
· প্রাকৃতিক আলো যেন ঢোকে, এমনভাবে জানালা ও পর্দার প্ল্যান করা।
· অ্যাম্বিয়েন্ট, টাস্ক ও অ্যাকসেন্ট লাইটের সমন্বয়।
· স্পটলাইট বা ফোকাস লাইট আর্টওয়ার্ক বা ফোকাল পয়েন্টে ব্যবহার।
৫. ওয়াল ট্রিটমেন্ট ও ডেকোর
· ওয়ালপেইন্ট, ওয়ালপেপার, প্যানেলিং বা টেক্সচার নির্বাচন।
· আর্ট, শেলফ বা মিরর ইত্যাদি দিয়ে ফোকাল পয়েন্ট তৈরি।

৬. ম্যাটেরিয়াল নির্বাচন
· টেকসই, সহজে পরিষ্কার করা যায় এমন ম্যাটেরিয়াল বেছে নেওয়া উচিত।
· পরিবেশবান্ধব এবং অ্যালার্জি–ফ্রি ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারে বাড়ির পরিবেশ ভালো থাকে।
৭. ভেন্টিলেশন ও এয়ারফ্লো
· কাচ বা জানালার অবস্থান এমনভাবে রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে।
· কিচেন, বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা দরকার।
৮. স্টোরেজ সলিউশন
· Hidden/Smart Storage ব্যবহারে জায়গা বাঁচে (বেডের নিচে, দেওয়ালের ভিতরে, সিঁড়ির নিচে)।
· বাড়তি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে হেল্প করে।
৯. Interior Landscape বা গ্রীনারি
ইনডোর প্ল্যান্ট, বারান্দা গার্ডেন বা উইন্ডো সিটের পাশে গাছ ঘরের পরিবেশে প্রশান্তি আনে।
১০. ইলেকট্রিক্যাল ও সেফটি প্ল্যানিং
· সঠিকভাবে প্লাগ–পয়েন্ট, সুইচ বোর্ড, লাইটিং পয়েন্ট পরিকল্পনা।
· ফায়ার সেফটি (বিশেষ করে কিচেনে), চাইল্ড প্রটেকশন, সিসিটিভি বা স্মার্ট হোম সিস্টেম প্রয়োজনে যুক্ত করা।

ফাংশনালিটি আগে, তারপর ফ্যাশন — ডিজাইন যেন শুধু দেখতেই সুন্দর না, ব্যবহারেও সহায়ক হয়।